অযুর নিয়ম

অযুর নিয়ম.......
আসুন অযুর নিয়ম   জেনে অযু করি //////
.
.
.
বিস্তারিত। ........Click



নবী রাসুলগণের দোয়া

নবী-রাসূলগণের দোয়া...


মহান আল্লাহ্ তায়ালা মানব
জাতিকে হেদায়াত করার জন্য
পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন।
এতে একদিকে যেমন তিনি স্রষ্টার
অস্তিত্ব ও একত্ব, সৃষ্টি ও সৃষ্টির
উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন তেমনি
ইবাদতের পদ্ধতি, মানুষের জন্য
কল্যাণকর ও অকল্যাণকর বিষয়সমূহ,
মানুষের ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-অনুতাপ,
পুরস্কার-প্রতিদান ইত্যাদি বিষয়
সম্পর্কেও উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্র
সন্তুষ্টি অর্জন অথবা ভুল-ত্রুটি
মার্জনা, অথবা বিপদাপদ থেকে
পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কীভাবে
তাঁকে ডাকতে হবে সে সম্পর্কে
কোরআনে দিক নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে। নবী-রাসূল (আঃ) ও মুমিন
বান্দারা কীভাবে মহান আল্লাহ্র
কাছে দোয়া করতেন, তাঁর কাছে
কী কী বিষয় প্রার্থনা করতেন
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে
সেসব বর্ণিত হয়েছে। নিচে এসব
আয়াতের মধ্য থেকে কয়েকটি
উল্লেখ করা হলো।
নবী-রাসূলগণের দোয়া :
নবী-রাসূলগণ মহান আল্লাহ্র কাছে
বিভিন্ন বিষয়ে প্রার্থনা করতেন।
ধর্ম প্রচারে সাহায্য করার জন্য,
কখনো কাফিরদের বিরুদ্ধে
সহযোগিতা কামনা করে, কখনো
নিজের জন্য, কখনো পিতা-মাতা,
কখনো আবার বংশধরদের জন্য নবী-
রাসূলগণ প্রার্থনা করতেন।

নিচেএমনই কিছু আয়াত উল্লেখ করা হলো...

১. নিজেদের বংশধারায় নবী
প্রেরণের জন্য মহান আল্লাহ্র কাছে
হযরত ইবরাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল
(আ.)-এর দোয়া :
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﻣِﻨَّﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴْﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴْﻢُ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ
ﻣُﺴْﻠِﻤَﻴْﻦِ ﻟَﻚَ ﻭَ ﻣِﻦْ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻨَﺎ ﺃُﻣَّﺔً ﻣُﺴْﻠِﻤَﺔً ﻟَﻚَ ﻭَ ﺃَﺭِﻧَﺎ ﻣَﻨَﺎﺳِﻜَﻨَﺎ
ﻭَ ﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَ ﺍﺑْﻌَﺚْ ﻓِﻴْﻬِﻢُ
ﺭَﺳُﻮْﻻً ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻳَﺘْﻠُﻮْﺍ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺁﻳَﺎﺗِﻚَ ﻭَ ﻳُﻌَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﻭَ
ﺍﻟْﺤِﻜْﻤَﺔَ ﻭَ ﻳُﺰَﻛِّﻴْﻬِﻢْ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳْﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴْﻢُ
…‘হে আমাদের প্রতিপালক!
আমাদের উভয়কে তোমার একান্ত
অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর হতে
তোমার এক অনুগত উম্মত কর। আমাদের
ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে
দাও এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল
হও। তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের
মধ্য থেকে তাদের নিকট এক রাসূল
প্রেরণ কর যে তোমার আয়াতসমূহ
তাদের নিকট তেলাওয়াত করবে;
তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা
দেবে এবং তাদেরকে পবিত্র
করবে। তুমি তো পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।’-(সূরা বাকারা : ১২৬)
২. পবিত্র মক্কা নগরী ও এর মুমীন
অধিবাসীদের জন্য হযরত ইবরাহীম
(আ.)-এর দোয়া :
ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻫﺬَﺍ ﺑَﻠَﺪﺍً ﺁﻣِﻨﺎً ﻭَ ﺍﺭْﺯُﻕْ ﺃَﻫْﻠَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮَﺍﺕِ ﻣَﻦْ
ﺁﻣَﻦَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻟْﺂﺧِﺮِ
ক. …‘হে আমার প্রতিপালক! একে
নিরাপদ শহর কর, আর এর অধিবাসীদের
মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাতে
ঈমান আনে তাদেরকে ফলমূল হতে
জীবিকা প্রদান কর।’-(সূরা বাকারা
: ১২৬)
ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻫﺬَﺍ ﺍﻟْﺒَﻠَﺪَ ﺁﻣِﻨﺎً ﻭَ ﺍﺟْﻨُﺒْﻨِﻲْ ﻭَ ﺑَﻨِﻲَّ ﺃَﻥْ ﻧَﻌْﺒُﺪَ
ﺍﻟْﺄَﺻْﻨَﺎﻡَ ﺭَﺏِّ ﺇِﻧَّﻬُﻦَّ ﺃَﺿْﻠَﻠْﻦَ ﻛَﺜِﻴْﺮﺍً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻓَﻤَﻦْ ﺗَﺒِﻌَﻨِﻲْ
ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣِﻨِّﻲْ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻋَﺼَﺎﻧِﻲْ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻏُﻔُﻮْﺭٌ ﺭَﺣِﻴْﻢٌ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﻧِّﻲْ
ﺃَﺳْﻜَﻨْﺖُ ﻣِﻦَ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲْ ﺑِﻮَﺍﺩٍ ﻏَﻴْﺮِ ﺫِﻱْ ﺯَﺭْﻉٍ ﻋِﻨْﺪَ ﺑَﻴْﺘِﻚَ ﺍﻟْﻤُﺤَﺮَّﻡِ
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟِﻴُﻘِﻴْﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻓَﺎﺟْﻌَﻞْ ﺃَﻓْﺌِﺪَﺓً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺗَﻬْﻮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ
ﻭَ ﺍﺭْﺯُﻗْﻬُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮَﺍﺕِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺸْﻜُﺮُﻭْﻥَ
খ. …‘হে আমার প্রতিপালক! এ
নগরীকে নিরাপদ কর এবং আমাকে ও
আমার পুত্রদেরকে প্রতিমা পূজা
থেকে দূরে রাখ। ‘হে আমার
প্রতিপালক! এ সব প্রতিমা তো বহু
মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। সুতরাং
যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার
দলভুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য
হলে তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি
আমার বংশধরদের কতককে বসবাস
করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার
পবিত্র গৃহের নিকট, হে আমাদের
প্রতিপালক! এজন্য যে, তারা যেন
সালাত কায়েম করে। অতএব, তুমি
কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি
অনুরাগী করে দাও এবং ফলাদি
দ্বারা তাদের রিযিকের ব্যবস্থা
কর, যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করে।’-(সূরা ইবরাহীম : ৩৫-৩৮)
৩. নিজের জন্য এবং পিতামাতা ও
মুমিনদের জন্য ইবরাহীম (আ.)-এর
দোয়া
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏْﻔِﺮْﻟِﻲْ ﻭَﻟِﻮَﺍﻟِﺪَﻱَّ ﻭَ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴْﻦَ ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻘُﻮْﻡُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏُ
…‘হে আমার প্রতিপালক! যেদিন
হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সেদিন
আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও
মুমিনদেরকে ক্ষমা কর।’-(সূরা
ইবরাহীম : ৪১)
হযরত ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর
অনুসারীদের দোয়া
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﻨَﺎ ﻭَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﻨَﺎ ﻭَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴْﺮُ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ
ﺗَﺠْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻓِﺘْﻨَﺔً ﻟِﻠَّﺬِﻳْﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺍ ﻭَ ﺍﻏْﻔِﺮْﻟَﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳْﺰُ
ﺍﻟْﺤَﻜِﻴْﻢُ
…‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা
তোমারই ওপর নির্ভর করেছি,
তোমারই অভিমুখী হয়েছি এবং
প্রত্যাবর্তন তো তোমারই নিকট। ‘হে
আমাদের প্রতিপালক! তুমি
আমাদেরকে কাফিরদের পীড়নের
পাত্র কর না। হে আমাদের
প্রতিপালক! তুমি আমাদের ক্ষমা কর;
তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’-
(সূরা মুমতাহিনা : ৪-৫)
৪. সীমা লঙ্ঘন ও কাফির সম্প্রদায়ের
বিরুদ্ধে নবী-রাসূলগণের দোয়া :
সম্মানিত নবী-রাসূলগণ সীমা লঙ্ঘন
থেকে বেঁচে থাকার বিষয়ে এবং
কাফিরদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ্র
কাছে এভাবে দোয়া প্রার্থণা
করতেন :
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏْﻔِﺮْﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮْﺑَﻨَﺎ ﻭَ ﺇِﺳْﺮَﺍﻓَﻨَﺎ ﻓِﻲْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻭَ ﺛَﺒِّﺖْ ﺃَﻗْﺪَﺍﻣَﻨَﺎ ﻭَ
ﺍﻧْﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳْﻦَ
…‘হে আমাদের প্রতিপালক!
আমাদের পাপ এবং আমাদের
কাজে সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা কর,
আমাদের পা সুদৃঢ় রাখ এবং কাফির
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের
সাহায্য কর।’-(সূরা আলে ইমরান : ১৪৭)
৫. হযরত নূহ (আ.)-এর দোয়া
ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲْ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃَﺳْﺌَﻠَﻚَ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟِﻲْ ﺑِﻪِ ﻋُﻠْﻢٌ ﻭَ ﺇِﻟَّﺎ
ﺗَﻐْﻔِﺮْﻟِﻲْ ﻭَ ﺗَﺮْﺣَﻤْﻨِﻲْ ﺃَﻛُﻦْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳْﻦَ
…‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে
আমার জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে
যাতে আপনাকে অনুরোধ না করি,
এজন্য আমি আপনার শরণাপন্ন হচ্ছি।
আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন
এবং আমাকে দয়া না করেন, তবে
আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’-
(সূরা হূদ : ৪৭)
৬. হযরত মূসা (আ.)-এর দোয়া :
ধর্ম প্রচারের কাজ সহজ করে দেয়া ও
সহোদর ভাই হযরত হারূন (আ.)-কে ধর্ম
প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগী করে
দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ্র কাছে
মূসা (আ.) নিচের প্রার্থনাটি
করেছিলেন :
… ﺭَﺏِّ ﺍﺷْﺮَﺡْ ﻟِﻲْ ﺻَﺪْﺭِﻱْ ﻭَ ﻳَﺴِّﺮْﻟِﻲْ ﺃَﻣْﺮِﻱْ ﻭَ ﺍﺣْﻠُﻞْ ﻋُﻘْﺪَﺓً
ﻣِﻦْ ﻟِﺴَﺎﻧِﻲْ ﻳَﻔْﻘَﻬُﻮْﺍ ﻗَﻮْﻟِﻲْ ﻭَ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲْ ﻭَﺯِﻳْﺮﺍً ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻲْ
ﻫَﺎﺭُﻭْﻥَ ﺃَﺧِﻲْ ﺍﺷْﺪُﺩْ ﺑِﻪِ ﺃَﺯْﺭِﻱْ ﻭَ ﺃَﺷْﺮِﻛْﻪُ ﻓِﻲْ ﺃَﻣْﺮِﻱْ
…‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ
প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ সহজ
করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর
করে দাও যাতে তারা আমার কথা
বুঝতে পারে। আমার জন্য আমার
স্বজনদের মধ্য থেকে একজন
সাহায্যকারী করে দাও আমার ভাই
হারূনকে, তার দ্বারা আমার শক্তি
সুদৃঢ় কর ও তাকে আমার কাজে অংশী
কর।’-(সূরা তা-হা : ২৫-৩২)
৭. হযরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া :
মাছের পেটে থাকা অবস্থায় ইউনুস
(আ.) এ দোয়া করেছিলেন :
… ﻟَﺎ ﺇِﻟﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺇِﻧِّﻲْ ﻛُﻨْﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴْﻦَ
…‘তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; তুমি
পবিত্র, মহান! আমি তো সীমা
লঙ্ঘনকারী।’ (সূরা আম্বিয়া : ৮৭)
মুমিন বান্দাদের দোয়া :
পবিত্র কোরআনে মুমিন বান্দাদের
বৈশিষ্ট্য বর্ণনার পাশাপাশি
তাদের দোয়া করার বিষয়টিও
বর্ণিত হয়েছে। তাদের দোয়া হলো
নিম্নরূপ :
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬْﻧَﺎ ﺇِﻥْ ﻧَﺴِﻴْﻨَﺎ ﺃَﻭْ ﺃَﺧْﻄَﺄْﻧَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَ ﻟَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞْ
ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺇِﺻْﺮًﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠْﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَ ﻟَﺎ
ﺗُﺤَﻤِّﻠْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَ ﺍﻏْﻔِﺮْﻟَﻨَﺎ ﻭَ ﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ
ﺃَﻧْﺖَ ﻣَﻮْﻟَﺎﻧَﺎ ﻓَﺎﻧْﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳْﻦَ
…‘হে আমাদের প্রতিপালক যদি
আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে
তুমি আমাদেরকে পাকড়াও কর না।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের
পূর্ববর্তিদের ওপর যেমন গুরুদায়িত্ব
অর্পণ করেছিলে আমাদের ওপর তেমন
দায়িত্ব অর্পণ কর না। হে আমাদের
প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর
অর্পণ কর না যা বহন করার শক্তি
আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন
কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের
প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের
অভিভাবক। সুতরাং কাফির
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে
সাহায্য কর।’-(সূরা বাকারা : ২৮৬)
বোধশক্তিসম্পন্ন (জ্ঞানী)
ব্যক্তিদের দোয়া :
পবিত্র কোরআনে বোধশক্তিসম্পন্ন
ব্যক্তিদের দোয়া সম্পর্কে বর্ণিত
হয়েছে যে, তারা বলে :
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮْﺑَﻨَﺎ ﻭَ ﻛَﻔِّﺮْ ﻋَﻨَّﺎ ﺳَﻴِّﺂﺗِﻨَﺎ ﻭَ ﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣَﻊَ
ﺍﻟْﺄَﺑْﺮَﺍﺭِ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَ ﺁﺗِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺳُﻠِﻚَ ﻭَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﺰِﻧَﺎ ﻳَﻮْﻡَ
ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴْﻌَﺎﺩَ
১. …‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি
আমাদের পাপ ক্ষমা কর, আমাদের মন্দ
কাজগুলো দূরীভূত কর এবং
আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের
সহগামী করে মৃত্যু দিও। হে আমাদের
প্রতিপালক! তোমার রাসূলগণের
মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছ তা আমাদেরকে
দাও এবং কিয়ামতের দিন
আমাদেরকে হেয় কর না। নিশ্চয়ই
তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম কর না।’-
(সূরা আলে ইমরান : ১৯১-১৯৪)
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺁﻣَﻨَّﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟَﻨَﺎ ﻭَ ﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ﻭَ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴْﻦَ
২. …‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা
ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে
ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ
দয়ালু।’ (সূরা মুমিনূন : ১০৯)
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﺻْﺮِﻑْ ﻋَﻨَّﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻏَﺮَﺍﻣﺎً
৩. …‘হে আমাদের প্রতিপালক!
আমাদের থেকে জাহান্নামের
শাস্তি বিদূরিত কর, তার শাস্তি
তো নিশ্চিত বিনাশ, নিশ্চয়ই তা
অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে
নিকৃষ্ট।’-(সূরা ফুরকান : ৬৩-৬৬)
হযরত মূসা (আ.)-এর সময় যাদুকরদের
দোয়া :
মূসা (আ.)-এর মোকাবিলায় ফিরআউন
যাদুকরদের নিয়ে আসে। যাদুকররা
মূসা (আ.)-এর মুজেযার কাছে
পরাজিত হয়ে ঈমান আনে। এতে
ফিরআউন ক্ষিপ্ত হয়ে যাদুকরদের
হত্যা করার নির্দেশ দেয়। এরপরও
যাদুকররা ঈমান ত্যাগ করেনি, বরং
মহান আল্লাহ্র কাছে তাদের
প্রার্থনা ছিল :
… ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺃَﻓْﺮِﻍْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺻَﺒْﺮﺍً ﻭَ ﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤِﻴْﻦَ
…‘হে আমাদের প্রতিপালক!
আমাদেরকে ধৈর্য দান কর এবং
মুসলমানরূপে আমাদেরকে মৃত্যু দাও।’-
(সূরা আরাফ : ১২৬)

ঘুমের কতিপই আদব ও দুয়া


ঘুমের কতিপই আদব ও দুয়া।
























































পরবর্তী অংশ দেখতে click



ঘুমের কতিপই আদব ও দুয়া2

ঘুমানোর আদব ও দু'য়া 


পরবর্তী অংশ। .........











ইসলামের ৫ খুটি

ইসলামের ৫ খুটি বা স্তম্ভ। ......

















হযরত আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ বিন 
ওমর বিন খাত্তাব (রা) থেকে 
বর্ণিত, 

তিনি বলেছেন, আমি 
রসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,

পাঁচটি খুঁটির উপর ইসলামের ভিত্তি 
রাখা হয়েছে। একথার সাক্ষ্য 
দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন 
মাবুদ নেই এবং মোহাম্মদ (সাঃ) 
আল্লাহর রাসূল। নামায কায়েম করা, 
যাকাত আদায় করা, আল্লাহর ঘরে 
হজ্জ করা এবং রমযানের রোযা 
রাখা।
 [ বুখারী ও মুসলিম]

 like our fb page...click here

দ্বীন শিক্ষা নিয়ে একটি সুন্দর হাদিস

প্রিয় পাঠক,  
 আমরা আজকে আরো একটি হাদিস আমাদের ব্ল গএ পোষ্ট দিচ্ছি,
 আশা করি হাদিস টি আপনাদের অনেক ভালোলাগবে।



এই হাদিসটি ইসলামের দ্বিতীয় 
খলিফা হযরত ওমর (রা) হতে বর্ণিত, 

তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলে 
করিম (সা) এর কাছে বসেছিলাম এমন 
সময় সেখানে হঠাৎ করেই একজন লোক 
আমাদের সামনে উপস্থিত হন, যার 
পরিধানের কাপড় ছিল খুবই সাদা 
এবং চুল ছিল খুবই কালো। তার ওপর 
সফরের কোন লক্ষণই ছিল না। 
আমাদের মধ্যে কেউ তাকে আদৌ 
চিনত না। 
তিনি নবী (সাঃ) এর 
কাছে গিয়ে বসেন এবং নিজের 
হাঁটু তাঁর হাটুঁর সঙ্গে মিলিয়ে দেন 
এবং নিজের হাত তাঁর উরুতে স্থাপন 
করে বলেন, হে মোহাম্মদ ! আমাকে 
ইসলাম সম্পর্কে বলুন। হুজুরে পাক 
(সাঃ) বলেন, ইসলাম হচ্ছে এই যে, 
তুমি সাক্ষ্য দিবে, আল্লাহ 
তায়ালা ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই 
এবং মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসুল, 
নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান 
করবে, রমযানে রোযা রাখবে এবং 
যদি সামর্থ থাকে তবে আল্লাহর 
ঘরের হজ্জ করবে। 
তিনি বললেন, আপনি ঠিক বলেছেন। 
তার প্রতি আমাদের বিস্ময় হলো এ 
জন্যে যে, তিনি নিজে তাঁর কাছে 
জানতে চাচ্ছেন, আবার নিজেই 
তাঁর উত্তরকে সঠিক বলে ঘোষণা 
করছেন। তিনি বললেন, আচ্ছা 
আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন। তিনি 
বললেন, ঈমান হচ্ছে আল্লাহ 
তায়ালা, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর 
গ্রন্থসমূহ, তাঁর রসুলরা ও পরকালের 
বিশ্বাস করা এবং তাকদিরের ভাল 
মন্দকে বিশ্বাস করা । তিনি বললেন 
আপনি সঠিক বলেছেন। তিনি 
বললেন আমাকে এবার ইহসান সম্পর্কে 
বলুন। তিনি (রাসূল সাঃ) বললেন: তা 
হচ্ছে এই যে, তুমি এমনভাবে আল্লাহর 
এবাদত করবে যেন তুমি আল্লাহকে 
দেখতে পাচ্ছো, আর যদি তুমি 
তাঁকে দেখতে না পাও তবে একথা 
জানবে যে, তিনি অবশ্যই তোমাকে 
দেখছেন। তিনি বললেন, কিয়ামত 
বিষয়ে আমাকে অবহিত করুন। তিনি 
বললেন, যাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে 
তিনি জিজ্ঞেসকারীর চেয়ে এ 
ব্যাপারে বেশি কিছু জানেন না। 
তিনি বললেন, কেয়ামতের লক্ষণ 
সমম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তা 
হচ্ছে এই, দাসী (কোন কোন 
ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে মহিলা) 
নিজের মালিককে জন্ম দিবে, জুতা 
বিহীন ও বিবস্ত্র দরিদ্র রাখালরা 
উঁচু উঁচু ঘরবাড়ি বানাতে গিয়ে 
নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা 
করবে। 
তারপর লোকটি চলে গেলেন। আমি 
আরো কিছু সময় সেখানে বসে 
থাকলাম। এবার রাসূল (সা) আমাকে 
বললেন, হে ওমর ! তুমি কি জানো 
প্রশ্নকারী ব্যক্তিটি কে ছিলেন ? 
আমি বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল 
ভাল জানেন। তিনি বললেন, তিনি 
ছিলেন জিব্রাঈল (আঃ) তিনি 
তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন 
শিক্ষা দিতে তোমাদের কাছে 
এসেছিলেন।

 [মোসলেম] 

জিন জাতি এবং জিন জাতি সৃষ্টির ইতিহাস (Life History Of Jin)

জিন  কি ? এরা কি খায় ? এরা কিসের তৈরি? এরাকি এক-রুপি না বহু-রুপি?  আসুন জিন সম্পর্কে জেনে নিই কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য...

"জিন জাতি "(Jin Jati)




জিন জাতি আল্ কোরআন বর্ণিত
একটি জীব বা সৃষ্টি।
 প্রাকইসলামী যুগেও জিন জাতি
সংক্রান্ত বিশ্বাস আরব এবং
কাছাঁকাছি এলাকায় বিদ্যমান
ছিল। আরবি জিন শব্দটির আক্ষরিক
শব্দার্থ যে কোন কিছু যা গুপ্ত,
অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী বা
অনেক দূরবর্তী।
ইসলাম ধর্মে জিন জাতি
সংক্রান্ত বিশ্বাস
কুরআন অনুসারে জিন জাতি
মানুষের ন্যায় আল্লাহ্ তা'য়ালার
এক সৃষ্ট একটি জাতি যারা
পৃথিবীতে মানব আগমনের পূর্ব
থেকেই তারা ছিল এবং এখনো
তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে
মানুষের চর্মচক্ষে তারা
দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। তবে জিনরা
মানুষকে দেখতে পায়।

জিনেরা  বিশেষ
কিছু শক্তির অধিকারী। তাদের
মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির ভেদ
রয়েছে। তারা মসজিদে নামাজ
পড়তে আসে। তাদেরও সমাজ
রয়েছে। তারা আয়ূ মানুষের
চেয়ে অনেক বেশি।

উদাহরনস্বরূপ,
তারা ৩০০ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক
হয়। ঈমাম ইবনে
তাইমিয়ার মতে জিন জাতি
তাদের অবয়ব পরিবর্তন করতে
পারে।
ইসলামের মতে জিন জাতি এক
বিশেষ সৃষ্টি। কুরআনের ৭২তম সুরা
আল জ্বিন এ শুধু জিনদের নিয়ে
কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সূরা
আন নাস এর শেষ অংশে জিন
জাতির উল্লেখ আছে।কুরআনে
আরো বলা আছে হযরত মুহাম্মদ (সা:)
কে জিন এবং মানবজাতির নবী
হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।

হযরত সুলায়মান (আ:) এর সেনাদলে
জিনদের অংশগ্রহণ ছিল বলে
কুরআনে উল্লেখ আছে। ইসলামে
আরো বলা আছে "ইবলিশ" তথা
শয়তান প্রকৃতপক্ষে জিন জাতির
একজন ছিল। ইসলামের মতে, শয়তান
হচ্ছে দুষ্ট জিনদের নেতা। ইবলিশ
বা শয়তান ছিল প্রথম জিন যে
আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
কুরআনে উল্লেখ আছে যে, "ইবলিশ
এক সময় আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা
ছিল । কিন্তু আল্লাহ যখন হযরত আদম
(আঃ) কে সৃষ্টি করলেন, তখন
হিংসা ও অহংকারের বশবর্তী
হয়ে ইবলিশ আল্লাহর হুকুম অমান্য
করে। এ কারণে ইবলিশ কে
বেহেশত থেকে বিতাড়িত করা
হয় এবং এরপর থেকে তার নামকরণ
হয় শয়তান"।
 ইসলাম পূর্ব আরব উপকথা
গুলোতে জ্বিন সদৃশ সত্ত্বার
উল্লেখ আছে। প্রাচীন সেমাইট
জাতির জনগণ জিন নামক সত্ত্বায়
বিশ্বাস করতো। তাদের
মতানুসারে নানাপ্রকারের জিন
পরিলক্ষিত হয়। যেমন, ঘুল (দুষ্ট
প্রকৃতির জিন যারা মূলত
কবরস্থানের সাথে সম্পর্কিত এবং
এরা যেকোন আকৃতি ধারণ করতে
পারে), সিলা (যারা আকৃতি
পরিবর্তন করতে পারতো) এবং
ইফরিত (এরা খারাপ আত্মা)।
এছাড়া মারিদ নামক এক প্রকার
জিন আছে যারা জিন দের মধ্যে
সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রাচীন
আরবদের মতে জিন রা আগুনের
তৈরি।

উল্লেখ্য যে, আরব্য রজনীর
কাহিনীর মতো সবসময় জিন অসাধ্য
সাধন করতে পারে না। কেননা
ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে
পারে না। কারণ তারা আগুনের
তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময়
আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের
তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি
হয়ে থাকে এবং কোন ঘরে যদি
নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও
কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে
জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা
হারিয়ে ফেলে। আর একটি কথা
মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও,
শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ
থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি,
পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ।
আর তাই জিন আগুনের শিখা
দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে
জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়।
এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো: রসুল (স.)
একদা উল্লেখ করেছিলেন যে,
"শয়তান বলে একটি জিন একদা
নামাজের সময় তাঁর সাথে
মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ
জিনকে গলা টিপে ধরলে,
সেইক্ষণে জ্বিনের থুথুতে
শীতলতা অনুভব করেছিলেন"।[সুরা
সাদ ৩৮:৩৫]
 এতে প্রতীয়মান হয় যে,
জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো,
তাহলে ঠাণ্ডা থুথুর থাকার কথা
নয়। এদিকে জিন তিন প্রকারের
আওতায় বিদ্যমান, প্রথমত. জমিনের
সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়,
ইত্যাদি; দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান
করে এবং শেষত সেই প্রকারের
জিন, যাদের রয়েছে পরকালে
হিসাব। পূর্বেই বলেছি, এরা সূক্ষ্ম,
তাই স্থূল মানুষ বা পশু-পাখি
জিনদের দেখতে পারে না। তবে
কুকুর ও উট এদের হুবহু দেখতে পারে।
এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে,
রাতে কোন অপরিচিত বস্তু বা
জীব চোখে না দেখা গেলেও
কুকুর কি যেন দেখে ছুটাছুটি ও
ঘেউ ঘেউ করলে তাতে জ্বিনের
আবির্ভাব হয়েছে বলে বুঝতে
হবে। জিন বহুরূপী। এরা মানুষ, পশু-
পাখি, ইত্যাদি যে কোন সুরত
ধরতে পারে। সেই ক্ষণে উক্ত
জীবের বৈশিষ্ট্যের আদলে তার
ঘনত্ব কম-বেশি হয়ে থাকে এবং
মানুষের দৃষ্টির মধ্যে আসে।


সৃষ্টি >>>→

কুরআন এবং হাদীসের মতে
জিনদের তৈরি করা হয়েছে
ধোঁয়াবিহীন আগুন


 (আরবি শব্দ-
'নার') হতে। 'নার' শব্দটির কয়েকটি
অর্থ আছে।
ইবনে আব্বাসের (রাঃ)
মতে, নার বলতে অগ্নিশিখার শেষ
প্রান্ত বোঝানো হয়েছে। অন্য
অনেকে মনে করেন, এর মানে
হচ্ছে বিশুদ্ধ আগুন। আবার কেউ
কেউ একে তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বা
অন্য কোনো তরঙ্গ-জাতীয়
অস্তিত্ব বলে থাকেন। ইসলামী
বিশ্বাস মতে, জিনদের সৃষ্টি করা
হয়েছে মানবজাতির আগে। বলা
হয়েছে, মানবজাতির
আবির্ভাবের আগে জিনরাই এই
পৃথিবীতে রাজত্ব করত; পরে
অবাধ্যতার অপরাধে এদেরকে
উৎখাত করা হয়েছে; তাই
বর্তমানে এরা পৃথিবীতেই নির্জন
স্থানসমূহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
বসবাস করছে।

জ্বীনদের নাম, পরিচয় ও তাদের
কাজ→

১. ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে দিয়ে
যেই জ্বীন আল্লাহর আনুগত্য থেকে
তাকে বিচ্যুত করেছিল – তার নাম
হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ তাকে
সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি
করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জ্বীন,
যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ।
আদম (আঃ) কে সিজদা করতে
অস্বীকার করে সে আল্লাহর
সামনে অহংকার প্রদর্শন করে – এই
কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির
জাহান্নামী ও আল্লাহর
অভিশাপ প্রাপ্ত। তার সন্তানদের
কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার
কেউবা কাফের, তাদের পিতা
ইবলিসের অনুসারী। যারা
কাফের জিন, তাদেরকে
সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়।

২.‘খানজাব’ – খানজাব হচ্ছে বিশেষ
একপ্রকার জ্বীন, যারা মানুষ যখন
সালাতে দাঁড়ায় তাদেরকে
নানান রকম চিন্তা মাথায়
ঢুকিয়ে নামাজ থেকে
অমনোযোগী ও উদাসীন করে
তুলে। মুয়াত্তা মালিক :স্বলাত
অধ্যায় ৩, হাদিস ১৫২

৩. ‘ওলহান’ –
এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জ্বীন
যারা মানুষকে ওযুর সময়
ওয়াসওয়াসা দেয়।
ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ মানুষেরা
ওযুতে ভুল করে বেশি।

৪. ‘ক্বারীন’
 – ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী,
প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান
জ্বীন লেগে থাকে, সংগী
হিসেবে। এরা সবসময় বান্দার
অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে
দিয়ে পাপ কাজ করতে উতসাহিত
করে। ক্বুরানে আল্লাহ এদের কথা
উল্লেখ করেছেন সুরাতুল ক্বাফ-
(১৯-২৯) এ।

অন্যান্য ধর্মে জিন
সঙ্ক্রান্ত বিশ্বাস→

ইসলাম ধর্মের জিন জাতি
সংক্রান্ত বিশ্বাসের সাথে মিল
পাওয়া যায় খ্রিষ্টানদের ডেমন
এবং ডেভিল সংক্রান্ত
বিশ্বাসের সাথে।

-------------------------------------------------------------

Like us on facebook...Click

নিয়ত সম্পর্কৃত জরুরী হাদীস

নিয়ত সম্পর্কে গুরুত্তপূর্ণ একটি হাদিস...





"আমিরুল মোমেনিন হযরত আবু হাফস 
ওমর বিন খাত্তাব (রা) থেকে 
বর্ণিত: তিনি বলেছেন, আমি 
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে 
শুনেছি যে, 
নিয়ত হচ্ছে মানুষের সকল 
কাজের মূল, আর প্রত্যেক ব্যক্তি  
যা নিয়ত করেছে সে তাই পাবে। অতএব 
যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর 
রাসুল (স) এর জন্য হিজরত করেছে তার 
হিজরত আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর 
রাসুলের জন্যই হয়েছে, আর যার 
হিজরত ছিল দুনিয়া (তথা পার্থিব 
বস্তু) অর্জণের জন্যে কিংবা কোন 
মেয়েকে বিয়ের জন্যে তার হিজরত 
সেই জন্যেই বিবেচিত হবে, যে জন্য 
সে হিজরত করেছে। 
মোহাদ্দেসদের দুজন প্রধান ইমাম আবু 
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ বিন ইসমাঈল 
বিন ইব্রাহিম বিন মোগীরাহ বিন 
বারদেযবাহ আল বুখারী এবং আবুল 
হাসান মুসলিম বিন হাজ্জাজ বিন 
মোসলেম আল কোশায়রী আন 
নিশাপুরী আপন আপন সহীহ গ্রন্থে এ 
বর্ণনাটি পেশ করেছেন"

আল্লাহ্‌  আমাদের সঠিক নিয়ত এর হেদায়াত দান করুন।
"আমিন"

----------------------------------------------------

Like our Facebook Page Click

আত্মহত্যা মহাপাপ, ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা...

!!! আত্মহত্যা মহাপাপ !!!



"আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ সাঈদ আল
আশাজ্জ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে
ব্যাক্তি কোন ধারাল অস্ত্র দ্বারা
আত্মহত্যা করবে, সে অস্ত্র তার
হাতে থাকবে, জাহান্নামের মধ্যে
সে অস্ত্র দ্বারা সে তার পেটে
আঘাত করতে থাকবে,
এভাবেসেখানে সে চিরকাল অবস্তান করবে।

আর যে ব্যাক্তি বিষপানে
আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের
আগুনের মধ্যে অবস্থান করবে উক্ত বিষ
পান করতে থাকবে, এভাবে
সেখানে সে চিরকাল অবস্থান
করবে।
 আর যে ব্যাক্তি নিজকে
পাহাড় থেকে নিক্ষেপ করে
আত্মহত্যা করবে, সে ব্যাক্তি সর্বদা
পাহাড় থেকে নিচে গড়িয়ে
জাহান্নামের আগুনে পতিত হতে
থাকবে, এভাবে সে ব্যাক্তি
সেখানে চিরকাল অবস্হান করবে"।

(মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদীস নং
২০১ )


[আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে
আত্মহত্যার মত মহাপাপ থেকে
বেচে থাকার তাওফীক দান করুন]

সবাই  বলুন আমিন ।


 ফেসবুকে আমিএখানে

Just start on islamer Alo

Islamic video er youtube chanel.:)





-----------------------------------------------
=================================
-----------------------------------------------

Follow Me On Facebook